Social Icons

About Us

Saturday, November 19, 2016

ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফলতার গুরুতপুর্ণ কিছু টিপস। দ্বারা

বর্তমান সময়ে যুব সমাজের সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা হল ফ্রীল্যান্সিং। তবে ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফলতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুতপুর্ণ বিষয় কাজ করে। এই বিষয় গুলো মেনে চলতে পারলে ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। ফ্রীল্যান্সিং করতে গেলে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। আর এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবেলা করার মাধ্যমেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন। যারা ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফলতার বিষয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য এই টিপস গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মার্কেটিং করাঃ নতুন কাজ পাওয়া কিংবা পুরাতন ক্লায়েন্ট এর কাজ পুনরায় পাওয়ার জন্য মার্কেটিং সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নিজের যোগ্যতা গুলো তুলে ধরতে হবে। কখনোই থেমে থাকা উচিত নয়, এমনকি ব্যস্ত থাকলেও। একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে পৃথিবী যোগ্যতাকে সম্মান করে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে সক্রিয় থাকাঃ প্রত্যাশিত ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার জন্য ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অনলাইন কমিউনিটি গুলো অন্যতম মাধ্যম। তাই সোশ্যাল মিডিয়াসহ অন্যান্য মাধ্যম গুলোতে নিজেকে আপডেটেড রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করাঃ নিজের এক্সপার্টাইজ এবং কাজের সম্পূর্ণ বিবরণ সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এতে সুবিধা হল আপনার ওয়েব সাইটের ছোট একটা লিংক ক্লায়েন্টের কাছে আপনার গ্রহণ যোগ্যতা অনেক খানি বাড়িয়ে দেবে। দক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্লগিং: আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই বিষয়ে অন্যের কাছে আপনাকে দক্ষ এবং জ্ঞানী হিসেবে তুলে ধরতে ব্লগিং একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এজন্য আপনি যে বিষয়ে কাজ করেন সেই বিষয়ে নিয়মিত ব্লগিং করুন। কাজের ভাল দিকগুলো জানাঃ প্রতিটি মানুষই কাজ এবং দক্ষতার দিক দিয়ে অনন্য। আপনার সেই অনন্যতাকে খুঁজে বের করে আনুন। আপনি যে কাজে পারদর্শী সেটা জানা থাকলে কাজ করা এবং নিজের মার্কেটিং করা, দুটোই একসাথে করতে আপনার অনেক সুবিধা হবে। পোর্টফোলিও আপডেটেড রাখাঃ নিয়মিত আপনার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা এবং আপডেটেড রাখুন। এর পাশপাশি আরেকটি বিষয়ই খেয়াল রাখুন যেন আপনার ভাল কাজ গুলো সবার আগে প্রদর্শিত হয়। কথা বলতে শেখাঃ সবসময় এটা ভাববেন না যে ক্লাইন্ট এসে আপনাকে নক করবে, সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন। সুযোগ যদি কড়া না নাড়ে তাহলে আগে দরজা তৈরি করুন। সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের ব্যাপারে রিসার্চ করাঃ যেসব ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করবেন তাদের সম্পর্কে আগে ভালভাবে না জেনে কোন ধরনের চুক্তি না করাই ভাল। ক্লায়েন্ট এবং কাজ দুটো সম্পর্কেই আগে জেনে নিতে হবে। নইলে পরবর্তীতে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। শুনতে শেখা এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করাঃ ক্লায়েন্ট কি চায় শুধুমাত্র সেটা আইডিয়া করেই কি করতে হবে সেটা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই উচিত নয়। ভাল করে শুনতে হবে সে কি চায় এবং সঠিক ভাবে বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করতে হবে। ভদ্র আচরণ করাঃ সুন্দর পরিবেশে বাস না করলেও সেটি অন্যের কাছে প্রকাশ করা কোন ভাবেই উচিত নয়। ভদ্র আচরণ সকলের কাছে আপনাকে লক্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী করে তুলবে। তাই সকলের সাথে ভদ্র আচরণ করতে হবে। আলোচনা করাঃ ক্লায়েন্টের পক্ষ থেকে যেকোন ধরনের প্রস্তাব বা শর্ত আপনাকে মেনে নিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই বা সেটা করবেন না। ফ্রীল্যান্সার হিসেবে আপনি একটি চুক্তির সব দিক নিয়ে আলোচনা কিংবা দর কষাকষি করতে পারেন। নিজের সুযোগ তৈরি করাঃ ক্লায়েন্ট কি চায় সেটা সম্পর্কে আপনাকে পুরাপুরি অবগত থাকতে হবে। এছাড়া ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ সম্পর্কে যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্ট ধারণা নিয়ে নিতে হবে। নিরপেক্ষ ভাবে কাজের মূল্যায়ন করাঃ অনেকেই কাজ পাননা তাই ক্লায়েন্টকে কম খরচে সেবা প্রদান করতে চান। কখনোই এটা করা ঠিক নয় বরং মানসম্মত কাজ করে কাজের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন। নিষেধ করতে ভয় না পাওয়াঃ ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ারের প্রতিটি সুযোগই যে আপনার জন্য যথাযথ হবে তেমনটি ভাবা কখনোই ঠিক নয়। যদি বুঝতে পারেন কাজটি আপনার জন্য নয় তাহলে কাজটি প্রত্যাখ্যান করতে ভয় পাবেন না। হাতের কাজ ও সময় কতটা আছে সেটা বিবেচনা করে হ্যাঁ বলুন। মনে রাখবেন বিনীত হয়ে না বলতে পারাটাও যোগ্যতার একটি অংশ। কাজের লিখিত ব্যাখ্যা নেওয়াঃ কাজ শুরু করার আগে একটি লিখিত চুক্তি করে নিন অথবা কি কি কাজ করবেন সেটার একটা লিখিত নিয়ে নিন। বিরক্ত না হওয়াঃ কাজ শুরু করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার কাজের পরিবেশ যেন আপনার কাজের সাথে সর্বোচ্চ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কারণ কাজের মাঝে মনযোগের বিক্ষেপ ঘটলে কাজটি শেষ করতে বেশি সময় লাগতে পারে কিংবা কাজটির মান সম্পর্কে নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। রুটিন অনুসরণ করাঃ অধিকাংশ ফ্রীল্যান্সাররা স্বীকার করেন, যখন তারা সুনির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ি কাজ করেন তখন তাদের কাজের প্রোডাক্টিভিটি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তাই কাজ করার সময় সুনির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করুন। কাজ করার জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাঃ নোংরা পরিবেশ আপনার কাজের গতি এবং সাহস অনেকখানি কমিয়ে দেয় যা আপনি হয়তো কখনো বুঝতেও পারবেন না। আপনি যদি অগোছালো প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আজ একদিনের জন্য হলেও কাজের জায়গাটি গুছিয়ে তারপর কাজ করুন। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন পার্থক্যটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাঃ ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতা লাভের অন্যতম শর্ত হল সুস্থ থাকা। কারণ অধিকাংশ ফ্রীল্যান্সাররা অসুস্থতার জন্য কাজ করতে পারেন না। আর এই অসুস্থতার মূল কারণ হল ভুল খাদ্যাভ্যাস। তাই সবার উচিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। ব্যায়াম করাঃ ব্যায়াম করলে নিজেকে অনেক বেশি ফুরফুরে লাগবে, কাজে মনোযোগও বাড়বে এবং অনেক সুক্ষ কাজও অনেক দক্ষতার সাথে করতে পারবেন। মাঝে মধ্যে বিরতি নেওয়াঃ কথাটা হয়তো কান্ডজ্ঞানহীনের মত মনে হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন দীর্ঘ সময় ধরে একটানা কাজ করা আপনার প্রোডাক্টিভিটিকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই মাঝে মধ্যে একটু বিরতি নিন তাহলে কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে পাবেন। প্রত্যাশা পূরণ করাঃ ক্লায়েন্টকে নিরাশ করবেন না, নির্ধারিত সময়ে কাজ জমা দিন এবং যা দিচ্ছেন সেটি যেন ক্লায়েন্টের শর্ত পূরণ করে সেটার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন। ইনভয়েস পাঠানোঃ কাজ জমা দিয়েছেন, এবার ক্লায়েন্টকে ইনভয়েস পাঠিয়ে দিন। অপেক্ষা করলে সেটার কথা আপনি কিংবা ক্লায়েন্ট যে কেউই ভুলে যেতে পারেন। ধন্যবাদ বলাঃ ধন্যবাদ বলতে পারেন এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। কারো কাছে লক্ষণীয় হয়ে উঠার একটা সহজ উপায় হল আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ বলতে পারা। তাই ক্লায়েন্টকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করবেন না। ফলোআপ করাঃ অনেক ফ্রীল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের ফলোআপ করতে ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, ফলোআপ করা ফ্রীল্যান্সিংয়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লক্ষ্য নির্ধারণ করাঃ কাজ কতদূর আগাচ্ছে কিংবা সঠিক পথে আগাচ্ছে কিনা লক্ষ্য নির্ধারণ ছাড়া কোন ভাবেই সেটা পরিমাপ করতে পারবেন না। এজন্য যৌক্তিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যা আপনি পূরন করতে পারবেন। পরিকল্পনা করাঃ লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন এবার সেই লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনে করণীয় কাজ গুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন। সময় পেলেই সেটাতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। সহযোগির সাহায্য নেওয়াঃ আপনি ফ্রীল্যান্সিং করেন, তার মানে এই নয় যে সব কাজ আপনাকেই করতে হবে। বিশেষ কোন কাজের জন্য প্রয়োজন হলে অন্য কারো সাহায্য নিতে পারেন। শেখার জন্য সময় রাখাঃ কথায় আছে, জানার কোন শেষ নেই, শেখার কোন বয়স নেই। আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান আপটুডেট রাখুন। নিয়মিত নতুন কিছু শেখা ফ্রীল্যান্সারদের জন্য অপশনাল নয়। ভাল কিছুর জন্য বিনিয়োগঃ টাকা খরচ করার একটি উপযুক্ত খাত হল নিজের জন্য একটা হাই কোয়ালিটি পিসি কেনা, সফটওয়্যারের দরকার হলে সেটা কেনা এবং ভাল ইন্টারনেট সার্ভিস পাওয়ার জন্য খরচ করা। এগুলো আপনাকে অযথা সময় নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবে এবং কাজ সহজ করবে। সঠিক সফটওয়্যারের ব্যবহারঃ যদিও বেশিরভাগ কাজই ফ্রী সফটওয়্যার টুলস দিয়েই হয়ে যায়, কিন্তু কিছু কাজ করতে আপনাকে হয়তো সফটওয়্যার টুলস কেনার প্রয়োজন হতে পারে। সেই সময় চিন্তা ভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন যাতে আপনি কাজটি সঠিকভাবে শেষ করতে পারেন। গ্রুপ সাপোর্ট তৈরি করাঃ ফ্রীল্যান্সাররা সাধারণত একা একাই কাজ করেন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্যের দরকার পড়ে। সুতরাং অন্য কোন ফ্রীল্যান্সারের সাথে বন্ধুত্ব করা কিংবা সেটা বজায় রাখা সম্পূর্নই আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। ক্লায়েন্টের মন্তব্য সংগ্রহ করাঃ পুরাতন কিংবা নতুন ক্লায়েন্টদের সমর্থন কিংবা টেষ্টিমোনিয়াল আপনার মার্কেটিংকে আরও শক্তিশালী করবে। এজন্য আপনার সম্পর্কে ক্লায়েন্টের পজিটিভ মন্তব্য গুলো আপনার ওয়েবসাইট এর পোর্টফোলিও পেজে তুলে ধরতে পারেন। নিজস্ব প্রোডাক্ট তৈরি করাঃ বাড়তি আয়ের জন্য নিজের কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন। সেটা হতে পারে টেমপ্লেট, ট্রেইনিং মডিউল, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ইবুক ইত্যাদি। এগুলো তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। ইতিবাচক হওয়াঃ কখনোই নিতিবাচক হওয়া উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, একজন ফ্রিল্যান্সারের ভাল মনোভাব তার জন্য অনেক বড় একটা সম্পদ। নিজের উপর বিশ্বাস রাখাঃ আপনি যদি বিশ্বাস করেন করণীয় কাজটির জন্য সঠিক ব্যক্তিটি আপনি নন, তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে সেটার জন্য যোগ্য মনে করবে সেটা কিভাবে আশা করেন। নতুন কিছু করাঃ সর্বদা নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করুন। আর কখনোই এক্সপেরিমেন্ট দিতে ভয় পাবেন না। অনলাইনে নিজস্ব মতামত বিশ্লেষণ করাঃ আপনি অনলাইনে যেসব কথা বলেন কিংবা আপনার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হয় সেটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এজন্য সঠিকভাবে এগুলো মেনে চলুন। ভবিষ্যতের জন্যে তৈরি থাকাঃ ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হোন এবং দুর্দিনের জন্য সঞ্চয় করুন। উপরের বিষয়গুলো নিয়মিত দেখুন ঠিকভাবে চলছে কিনা। এগুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করলে নিশ্চয় আপনি ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। Share16

No comments:

Post a Comment

 

চেয়ারম্যান ও সিইও

Sample Text

Sample Text

 
Blogger Templates